Page: 049

শ্রীশ্রীহরি লীলামৃতপৃষ্ঠা নং : ৪৯
চারি ভাই, | শুনে তাই, | বাক্য দিল সায়। |
বড়কর্তা, | কহে বার্তা, | য’বে লুঠ হয়।। |
মোর ঠাই, | আছে ভাই, | মুদ্রা দশ শত। |
দ্বিশতক, | এক এক, | ভাগ পরিমিত।। |
পয়ার।
মহাপ্রভু বলে ভাই আমার নিকটে।
এইক্ষণে পঞ্চশত টাকা আছে বটে।।
তৈলের দোকান করিয়াছি কিনা হাটে।
এই টাকা লভ্য আছে আমার নিকটে।।
এর এক এক শত পাবে একজন।
এই টাকা সবে লহ করিয়া বণ্টন।।
যার যার অংশ সেই সেই বুঝে নিল।
তিনশত টাকা এক জনে অংশে পেল।।
বিশ্বনাথ ভিটা পরে চারি সহোদর।
মহাপ্রভু র’ল আম ভিটা বেঁধে ঘর।।
জমিদার ফিরে গেল সফলানগরী।
করিল বহু বিলাপ আসিয়া কাছারী।।
কহিল নিষ্ঠুরবাণী তারা পঞ্চ ভাই।
উচ্ছন্ন করেছি প্রজা ভালো করি নাই।।
রাজার মিনতি আর বণ্টনের লীলা।
শ্রবণে গৃহেতে লক্ষ্মী থাকেন অচলা।।
শ্রীধাম শ্রীওঢ়াকাঁদি প্রভুর বিরাজ।
রচিল তারকচন্দ্র কবি রসরাজ।।
ব্রজনাথের জীবন ত্যাগ।
দীর্ঘ ত্রিপদী।
প্রভু যবে রামদিয়া, ব্রজনাথ সঙ্গে গিয়া
প্রভু সঙ্গে রঙ্গেতে বেড়ায়।
পরে উড়িয়া নগরে, মহাপ্রভু বাস করে
ব্রজনাথ সফলাডাঙ্গায়।।
ফিরে এল জমিদার, প্রভু না আসিবে আর
ওঢ়াকাঁদি হ’ল বাসস্থান।
শুনিয়া নিষ্ঠুর বাণী, বুকে করাঘাত হানি
ব্রজনাথ ত্যজিল পরাণ।।
গিয়া উত্তরের ঘরে, মধ্য চৌকি খাম্বা ধ’রে
দাদা বলে ছাড়ে হুহুঙ্কার।
দাঁড়ায়ে ত্যজিল তনু, বাহিরায় পরমাণু
ব্রহ্মরন্ধ্র ফেটে যায় তার।।
যেন শশী প’ল খসি, ব্রজনাথ জ্যোতি আসি
হরিচাঁদ পদে লুকাইল।
তার ভ্রাতাগণ যত, করিল অগ্নি সংস্কৃত
কবি কহে রবি ডুবে গেল।।
পঞ্চম তরঙ্গ।
বন্দনা।
জয় জয় হরিচাঁদ জয় কৃষ্ণদাস।
জয় শ্রীবৈষ্ণব দাস জয় গৌরী-দাস।।
জয় শ্রীস্বরূপদাস পঞ্চ সহোদর।
পতিতপাবন হেতু হৈলা অবতার।।
জয় জয় গুরুচাঁদ জয় হীরামন।
জয় শ্রীগোলকচন্দ্র জয় শ্রীলোচন।।
জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয়।
জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দ ময়।।
জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ।
নিজ দাস করি মোরে কর আত্মসাৎ।।
মহাপ্রভু কর্ত্তৃক কৃষিকর্ম্ম।
পয়ার।
বর্ণনা অতীত ঠাকুরের লীলা যত ।
আর দিন হইলেন কৃষিকার্য্যে রত।।
সফলানগরী প্রভু যবে কৈল বাস।
ক্রমে ক্রমে ঈশ্বরত্ব হইল প্রকাশ।।
একদিন শুভদিন রজনী প্রভাত।
তিন ডাক ছাড়ে প্রভু কোথা বিশ্বনাথ।।
মুহূর্ত্তেক পরে বিশ্বনাথ উপস্থিত।
বলে প্রভু ডাক কেন কহ মনোনীত।।
সকলে বিস্ময় মানি আশ্চর্য্য গণিল।
কোথা হ’তে ডাকিল বা কোথা হ’তে এল।।