Page: 076

শ্রীশ্রীহরি লীলামৃতপৃষ্ঠা নং : ৭৬

ঈষন্নিদ্রাপূর্ণ চৈতন্য করিত বিশ্রাম।
তার মধ্যে হরিনাম নাহিক বিরাম।।
হরি হরি বলে যবে করিত ভোজন।
মন্ত্র ভুলে হরি বলে আত্ম নিবেদন।।
হরি জল খা’ব ব’লে দেও ব’লে ডাকে।
ভুলে ভোজনের দ্রব্য তুলে দেয় মুখে।।
নামের সহিত দ্রব্য দুই হাতে তুলি।
বদন বদনে দিত হরি হরি বলি।।
এইভাবে উদাসীন হইল বদন।
এইভাবে ঠাকুরের সঙ্গেতে মিলন।।
অবিরাম হরিনাম করে অনুক্ষণ।
ইচ্ছামত করিতেন গমনাগমন।।
কক্ষবাদ্য করতালি কখন কখন।
কভু ওঢ়াকাঁদি কভু গৃহেতে গমন।।
কখন বা রাস্তা দিয়া করিতে পয়ান।
কভু পথ বিপথ বা না থাকিত জ্ঞান।।
হরি বলে কখন চলিত বেগভরে।
খান নাল লম্ফ দিয়া যাইতেন পারে।।
জঙ্গল কণ্টক কিম্বা জলমগ্ন স্থান।
আড়ভাবে হরি বলি করিত পয়ান।।
ঘোরাফিরা নাহি ছিল দৌড়াইত সোজা।
এমন মহৎভাব নাহি যেত বুঝা।।
মলমূত্র ত্যাগে হরি নাহিক বিশ্রাম।
নাহি ক্ষান্ত অবিশ্রান্ত করে হরিনাম।।
ব্যাধিযুক্ত কেহ যদি হ’য় নিরুপায়।
কাঁদিয়া ধরিত গিয়া বদনের পায়।।
হরিচাঁদ বলিয়া দিতেন আজ্ঞা ক’রে।
অমনি সারিত ব্যাধি আজ্ঞা অনুসারে।।
বদনের শুভাখ্যান শুনে যেই লোক।
শ্রবণেতে মহাসুখ বিজয়ী ত্রিলোক।।
ওঢ়াকাঁদি শেষ লীলা অলৌকিক কাজ।
ভণে শ্রীতারকচন্দ্র করি রসরাজ।।


আদি খণ্ড সমাপ্ত