Page: 161

শ্রীশ্রীহরি লীলামৃতপৃষ্ঠা নং : ১৬১

কবে রে ঠাকুর, হ’লি এতদূর
পোতায় ছিল না ঘর।
যার মেয়েলোকে, মাঠে বই রাখে
এত বৃদ্ধি কেন তার।।
প্রভু দেন গালি, যাহা যাহা বলি
পাগলের বংশে নাই।
রঙ্গবাড়ী ঠেকে, গালি দেন রুখে
সেই বংশে আছে তাই।।
চক্র নাহি সোজা, চক্রী চক্র বোঝা
কি চক্রে কারে ঘুরায়।
কুবের ভবনে, আসিয়া তখনে
পাগল নিরস্ত হয়।।
কুবেরের বাসে, রায়চাঁদ এসে
উপনীত যখনেতে।
কুবের নারীকে, বলেছেন ডেকে
রায়চাঁদে দেও খেতে।।
রায়চাঁদ কয়, খাওয়ালে আমায়
সঙ্গে করে এনেছিলে।
বহু পরিশ্রমে, আসি সিঙ্গা গ্রামে
খুব ভাল খাওয়ালে।।
শুনিয়া পাগল, বলে হরিবোল
জয় হরি বলে উঠে।
রুষিল দুরন্ত, যেমন জলন্ত
পাবকে উল্কা ছুটে।।
কুবেরের ঘরে, আনিতে ঠাকুরে
যুধিষ্ঠির বাড়ী যথা।
ঠাকুর আসিতে, ভক্তিযুক্ত চিতে
কুবের গিয়াছে তথা।।
পায়স পিষ্টক, ব্যঞ্জনাদি টক
লাবড়া ডাউল শাক।
ঠাকুরে আনিতে, ভক্তিযুক্ত চিতে
এদিকে হ’য়েছে পাক।।
কুবেরের নায়, উঠে দয়াময়
আসিতেছে তার বাসে।
পাগল শুনিয়া, ধাইয়া যাইয়া
ঘাটে দাঁড়াইল রোষে।।
ঠাকুরে চাহিয়া, কহিছে ডাকিয়া
আয় দেখি আয় আয়।
ঠাকুর কেমন, বুঝিব এখন
কে কেমন দয়াময়।।
ঠাকুর আমায়, কে বলে কোথায়
ঠাকুর বানালে কেটা।
তুই না ঠাকুর, বানালি ঠাকুর
আমি ঠাকুরের বেটা।।
মানিনে ঠাকুর, অই যে ঠাকুর
শতেক ঠাকুর এলে।
ঠাকুর দেখিব, আজ কি ছাড়িব
ঠাকুরে ডুবা’ব জলে।।
তুই যা’স যথা, আমি নাহি তথা
এ কথা ভাবিস কেনে।
যাই কিনা যাই, দেখাইব তাই
জানিতে পারিবি মনে।।
বক্ষঃ বিদরিয়া, দিব দেখাইয়া
তেমন নির্বোধ নয়।
পর দেহ ধরি, কার দেহ চিরি
অধিকার নাহি তায়।।
তার একজন, পবন নন্দন
হৃদি বিদারী দেখায়।
করিল জহুরী, তাতে লাজে মরি
পশু শিশু আমি নয়।।
থাকিয়া অন্তরে, কি জেনে অন্তরে
মারিস অন্তর হ’য়ে।
কে তোর আপন, বুঝিব এখন
আয় দেখি নাও বেয়ে।।
দিব জলাঞ্জলী, সব ঠাকুরালী
যা থাকে আমার ভাগ্যে।
বুঝিব ক্ষমতা, আজ সেই ক্রেতা
দেখুক ভকত বর্গে।।
এক এক বার, ভীষণ চীৎকার
কহিছে সার রে সার।
অধরোষ্ঠ কম্পে, এক এক লম্ফে
ভূমিকম্পে লম্ফে তার।।
ঠাকুর দেখিয়া, ভয়ে ভীত হৈয়া
কহিছে কুবের ঠাই।
চেয়ে দেখ আড়ি, আজ তোর বাড়ী
গিয়া মম কাজ নাই।।