Page: 248

শ্রীশ্রীহরি লীলামৃতপৃষ্ঠা নং : ২৪৮
ভট্টাচার্য উপধিক শ্রেষ্ঠ শ্রেণী রাঢ়ী।
ভক্ত সঙ্গে যান রঙ্গে ওঢ়াকাঁদি বাড়ী।।
দোঁহাই শ্রীগুরুচাঁদ বলে রোগী সারে।
মানসিক টাকা দেন শ্রীগুরুচাঁদেরে।।
গুরুচাঁদ নামে ঘট পাতে ঠাই ঠাই।
আমবাড়ী গ্রামে ঘট পাতিল গোঁসাই।।
তেরখাদা রজবংশী মাতিল সকল।
মুসল্মান তিনকড়ি বলে হরিবোল।।
তেরখাদা ঘট পাতে রাজবংশী বাড়ী।
পাতিল দোসরা ঘট মাঞ্জের বাড়ী।।
সাহাজাতি পুরুষ প্রকৃতি মাতিয়াছে।
তারকেরে গুরু বলে নাম লইয়াছে।।
তেরখাদা ঘাটের পাটনী বনমালী।
ডুমুরিয়া তার বাড়ী মাতে হরিবলি।।
ইতিপূর্বে জয়পুর প্রহলদ পাটনী।
খেয়াঘাটে ধ্বনি জ্বেলে পো’হাত অগিনি।।
গ্রীষ্মকালে অগ্নি জ্বেলে প্রখর রৌদ্রেতে।
জপিত শ্রীহরিনাম বসে সেখানেতে।।
গোস্বামী গোলোক এসে তাহা নিষেধিল।
শেষে নামে মত্ত হ’য়ে নিদ্রা তেয়াগিল।।
তেরখাদা মাতাইল বহু সাধু লোক।
মাতিল সাহাজী শশী হৃদয় তারক।।
কি কহিব ইহাদের ভকতির কথা।
অতি সাধ্বী সতী নারী ইহাদের মাতা।।
হৃদয় শশীর পিতা মহা অনুরাগী।
হরিচাঁদ প্রিয় ভক্ত যেন মহাযোগী।।
ওঢ়াকাঁদি ভক্ত পেলে করে শিরোধার্য।
মন প্রাণ দেহ দিয়া করে সেবা কার্য।।
পঞ্চানন ঠাকুরের মহিমা অপার।
হরিভক্তি শিখাইয়া মাতাল সংসার।।
দুর্গাপুর মাতে হরিবর মনোহর।
তারকের শিষ্য তারা ভক্ত প্রিয়তর।।
মহাকবি দুই ভাই ভক্ত চূড়ামণি।
উভয়ে কবি আখ্যা কবি চূড়ামণি।।
তারকের বাঁধা পদ কাজ কি মন্ত্রবীজে।
পদ শুনে হরিবর সন্ধ্যাহ্নিক ত্যজে।।
মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের স্তোত্র গীতি যাহা।
ত্রি-সন্ধ্যা আহ্নিক তার মূলমন্ত্র তাহা।।
তারকের স্তবাষ্টক নিজকৃত স্তব।
(বাদ পড়েছে : editing)
গুরুচাঁদ আজ্ঞামতে শ্রীতারক গুরু।
মহানন্দ শ্রীতারক বাঞ্ছা কল্পতরু।।
চণ্ডীচরণের পুত্র যাদব মল্লিক।
মৃত্যুঞ্জয় ভাগ্নেয় তারক প্রাণাধিক।।
বিশ্বাস যাদব চন্দ্র সাধু শুদ্ধমতি।
তাহার লোহার গাতী গ্রামেতে বসতি।।
দুই যাদবের এই রচনার প্রীতি।
সকৌতুকে পরিশ্রম করিয়াছে অতি।।
যাদব বিশ্বাস হয় এ গ্রন্থ লেখক।
মল্লিক লেখায় তাঁরে হইয়া পাঠক।।
লেখক যাদব ইনি পর উপকারী।
বহুদিন লেখে গ্রন্থ কার্য ত্যাগ করি।।
দলিল লিখিতে নাহি মোহরানা লয়।
দরিদ্রের পিতৃতুল্য দয়ার্দ্র হৃদয়।।
দেশের প্রধান ব্যাক্তি শালিসী করয়।
সুবিচার করে কারু ঘুষ নাহি খায়।।
একদিন স্বজাতির সমাজে গেলেন।
কৌলীন্য মর্যাদা পাঁচ টাকা পাইলেন।।
মান্য পেয়ে পরে টাকা ফিরাইয়া দিল।
কোন ক্রমে দাতারা সে টাকা নাহি নিল।।
দায় ঠেকে টাকা লয়ে এল নিজালয়।
গ্রাম্য বারোয়ারী কালী পূজাতে লাগায়।।
নিজের চাঁদার টাকা অগ্রে তাহা দিল।
আরো সেই পাঁচ টাকা সবে সমর্পিল।।
বলে এই টাকা নিলে মহা পাপ হয়।
এই ভয় নিমন্ত্রণ খাইতে না যায়।।
এইরূপ শুদ্ধ শান্ত পুরুষ রতন।।
এই রচনার তার বড়ই যতন।
এই গ্রন্থ লেখার কালে মকর্দমা ছিল।
টাকা জন্য বাড়ী যা’বে তারকে জানাল।।
তারক বলিল ধর এই টাকা লও।
ফিরায়ে নিব না টাকা অদ্য হেথা রও।।
শুনিয়া যাদব অধোবদনে রহিল।
বাক্য নাহি অশ্রুজলে ভাসিতে লাগিল।।
অর্থ দিবে এই ভয় লুকাইয়া গেল।
যাদব মল্লিক গিয়া খুঁজিয়া ধরিল।।