Page: 227

শ্রীশ্রীহরি লীলামৃতপৃষ্ঠা নং : ২২৭
দরজা আটকান হ’ল না দিল খিল।
জীব জীবনের আশা নাহি এক তিল।।
দৈবে খাঁচা হ’তে পাখী বাহির হইল।
মাটিতে পড়িবা মাত্র বিড়ালে ধরিল।।
ডাকিতে লাগিল পাখী হইয়া অস্থির।
দন্তাঘাতে বিদ্ধ দেহ পড়েছে রুধির।।
দৌড়ে গিয়া সেই পাখী সকলে ধরিল।
মৃত প্রায় হ’য়ে পাখী দুই দিন ছিল।।
আর না করিল পাখী জল ফলাহার।
হরেকৃষ্ণ রাধাকৃষ্ণ বলে অনিবার।।
লোচন গোস্বামী বলে মম বাক্য লও।
ত্যাগ কর মমতা পাখীরে ছেড়ে দাও।।
পূর্বদিনে প্রহরেক বেলার সময়।
মার্জরে আঘাত করে সে পাখী গায়।।
সে হইতে সদা করে হরে কৃষ্ণ নাম।
হরি বল হরি বল নাহিক বিরাম।।
যদি সেই পাখী কেহ দেখিবারে যায়।
হরি বল হরি বল হরি বল কয়।।
কত হরিনাম করে নাহিক বিরাম।
হরি বলিতে বলিতে রুদ্ধ হয় দম।।
কোন দমে বলে হরি বিশ ত্রিশ বার।
দুনয়নে বহে অবারিত জলধার।।
হরে কৃষ্ণ হরি হরি বলিতে বলিতে।
অকস্মাৎ দেহ পাত পড়িল মহিতে।।
তারক স্বকরে করি সে পাখী ধারণ।
নবগঙ্গা জলে দেহ দিল বিসর্জন।।
ব্রজে ছিল যত পাখী নিকুঞ্জ কাননে।
রাধা শ্যাম মিলন দেখিত দুনয়নে।।
ওঢ়াকাঁদি প্রভু লীলা ঐশান্য কোণে।
এই সব ব্রজ পাখী এল সে কারণে।।
সেই সব পাখী এল ভকত সমাজ।
রচিল তারকচন্দ্র কবি রসরাজ।।