Page: 077

শ্রীশ্রীহরি লীলামৃতপৃষ্ঠা নং : ৭৭
শ্রীশ্রীহরি-লীলামৃত।
মধ্য খণ্ড।
প্রথম তরঙ্গ।
বন্দনা।
জয় জয় হরিচাঁদ জয় কৃষ্ণদাস।
জয় শ্রীবৈষ্ণব দাস জয় গৌরী-দাস।।
জয় শ্রীস্বরূপদাস পঞ্চ সহোদর।
পতিতপাবন হেতু হৈলা অবতার।।
জয় জয় গুরুচাঁদ জয় হীরামন।
জয় শ্রীগোলকচন্দ্র জয় শ্রীলোচন।।
জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয়।
জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দ ময়।।
জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ।
নিজ দাস করি মোরে কর আত্মসাৎ।।
অথ মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের উপাখ্যান।
পয়ার।
মল্লকাঁদি গ্রামে মৃত্যুঞ্জয় মহাভাগ।
যে ভাবে ঠাকুর প্রতি বাড়ে অনুরাগ।।
নিত্যানন্দ মহাসাধু দানধর্মে রত।
কৃষ্ণ ভক্তি সাধুসেবা করে অবিরত।।
তাহার নন্দন হ’ল নাম মৃত্যুঞ্জয়।
সুভদ্রা নামিনী মাতা পতিব্রতা হয়।।
সেই রত্নগর্ভজাত হ’ল মৃত্যুঞ্জয়।
পরম বৈষ্ণবী দেবী সুভদ্রা সে হয়।।
নিত্যানন্দ পরলোকে করিলে গমন।
পতিশোকে সুভদ্রার সতত রোদন।।
পতি ধর্মাশ্রয় করি শিখার মুণ্ডন।
শুদ্ধমতি এক সন্ধ্যা করিত ভোজন।।
শিক্ষা কৈল হরিদাস বাবাজীর ঠাই।
সদা মনে কৃষ্ণ চিন্তা অন্য চিন্তা নাই।।
অঙ্গে ছাপা জপমালা তুলসী সেবন।
তুলসীর বেদী নিত্য করিত লেপন।।
নিশাকালে অল্প নিদ্রা তেমতি বিশ্রাম।
ঘুমেতে থাকিয়া করিতেন হরিনাম।।
ব্রহ্ম মুহূর্তের কালে করি গাত্রোত্থান।
প্রেমভরে ডাকিতেন গৌরাঙ্গরে প্রাণ।।
কোথারে নিতাই মোর কোথা ওরে গৌর।
দাসীকে করহ দয়া দয়াল ঠাকুর।।
বাপরে চৈতন্য মোর বাপরে নিতাই।
দাসীকে করহ দয়া এস দুটি ভাই।।
হরি বলি রোমাঞ্চিত প্রেমেতে পুলক।
প্রাতঃকৃত স্নান করি পরিত তিলক।।
হরিনাম পদছাপা সর্বঅঙ্গে পরি।
নিতাই বলিতে চক্ষে ঝরে অশ্রুবারি।।
তৈল মৎস বিনে নিজ হাতে করি পাক।
নিতাই চৈতন্য বলে ছাড়িতেন ডাক।।
সেই রত্নগর্ভজাত সাধু মৃত্যুঞ্জয়।
শাস্ত্র শ্লোক বক্তা ছিল ধীর অতিশয়।।
শাস্ত্র আলাপনে অতি ছিলেন সমর্থ।
করিতেন শাস্ত্রের মাঝেতে নিগুঢ়ার্থ।।
সাধু সঙ্গে ইষ্ট গোষ্ঠ করে নিরবধি।
দৈবেতে হইল তার রসপিত্ত ব্যাধি।।
ভাবিলেন আমি হেন লোকের সন্তান।
আমার এব্যাধি হ’ল না রাখিব প্রাণ।।
কোন মুখে এই মুখ লোকেরে দেখা’ব।
ভাবিলেন বিষ খেয়ে জীবন ত্যাজিব।।
ওঢ়াকাঁদি হ’ল হরি ঠাকুর প্রচার।
আশা যাওয়া করে প্রভু রাউৎখামার।।
এ দেশ এ গ্রাম সব ধন্য হইয়াছে।
আমিও যাইব সেই ঠাকুরের কাছে।।