Page: 228

শ্রীশ্রীহরি লীলামৃতপৃষ্ঠা নং : ২২৮
শ্রীশ্রীহরি-লীলামৃত।
পরিশিষ্ট খণ্ড।
প্রথম তরঙ্গ।
বন্দনা।
জয় জয় হরিচাঁদ জয় কৃষ্ণদাস।
জয় শ্রী বৈষ্ণব দাস জয় গৌরী দাস।।
জয় শ্রী স্বরূপ দাস পঞ্চ সহোদর।
পতিত পাবন হেতু হৈলা অবতার।।
জয় জয় গুরুচাঁদ জয় হীরামন।
জয় শ্রী গোলোকচন্দ্র জয় শ্রী লোচন।।
জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয়।
জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দময়।।
জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ।
নিজ দাস করি মোরে কর আত্মসাৎ।।
ভগবান শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ উপাখ্যান।
পয়ার।
হরিচাঁদ জ্যেষ্ঠ পুত্র শ্রীগুরুচরণ।
গুরুচাঁদ নাম বলে সব ভক্তগণ।।
ঠাকুরের প্রিয় ভক্ত ছিল যত জনে।
ঠাকুর স্বরূপ বলি গুরুচাঁদে জানে।।
নির্জনেতে ভাবি হরিচাঁদের চরণ।
প্রভু গুরুচাঁদ অবতীর্ণ কোন জন।।
বহু চিন্তা করিলাম বড়ই কঠোর।
যোগাসনে রাত্রি হ’ল দ্বিতীয় প্রহর।।
এ সময় আচম্বিতে শব্দ এক হয়।
শূন্য হ’তে শুনা গেল দৈববাণী প্রায়।।
বলিলেন তোরা সবে ইষ্টজ্ঞানে সেব।
হরিচাঁদ পুত্র গুরুচাঁদ মহাদেব।।
মহাদেব কেন জন্ম নিল এই ঠাই।
ধ্যান তূল্য ভাবনা বিজ্ঞানে জ্ঞানে পাই।।
তাই লিখি চিন্তিয়া যা পাই ব্যবস্থায়।
শঙ্কর নন্দন হ’ল গণেশ তাহায়।।
পার্বতী মা পুত্র ইচ্ছা করিলেন মনে।
পুত্র চাই জানাইল শিব সন্নিধানে।।
শিব বলে মম শাপ আছে পূর্বকালে।
নিজ স্ত্রী গর্ভে কারু জন্মিবে না ছেলে।।
তুমি আমি বিহারিনু আনন্দ কাননে।
রতি ভাঙ্গিবারে চেষ্টা করে দেবগণে।।
ময়ূরকে পাঠাইল তাকে দেই শাপ।
ব্রহ্ম-ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে আছয় প্রস্তাব।।
ময়ূরে দিলাম শাপ দেবতা সহিতে।
পুত্র না জন্মিবে কারু সপত্নী গর্ভেতে।।
তবে যদি ওগো দেবী! পুত্র বাঞ্ছা কর।
করহ পূণ্যক ব্রত শতেক বৎসর।।
তাহা শুনি হৈমবতী ব্রত আরম্ভিল।
শতবর্ষ পরে সেই ব্রত পূর্ণ হ’ল।।
ব্রতপূর্ণ অন্তে দেবী হরিষ অন্তরে।
হরিদ্রা লইয়া যান স্নান করিবারে।।
স্নান করি এসে দেবী করে দরশন।
শয্যাপরে আছে পুত্র করিয়া শয়ন।।
হেনকালে আসিয়া কহেন মৃত্যুঞ্জয়।
পেয়েছ সাধের পুত্র ধরহ হৃদয়।।
ব্রতপূর্ণ ফলে পুত্র পেয়েছে শঙ্করী।
পুত্ররূপে কোলে পেলে গোলক বিহারী।।
পার্বতী করেন কোলে সাধনের ধন।
রূপেতে কৈলাস আলো ভুবনমোহন।।