Page: 210

শ্রীশ্রীহরি লীলামৃতপৃষ্ঠা নং : ২১০
রামধন আসিলেন ঠাকুর নিকট।
ভরত বলেন প্রভু না করিও হট।।
তোমারে সকলে মানে না জানে তা কেটা।
পাপ ভয় নাহি করে এই আঁধা বেটা।।
দেবে মানে দৈত্য মানে গন্ধর্বেরা মানে।
ইন্দ্র চন্দ্র নত হয় তব শ্রীচরণে।।
তোমার চরণ সেবি থাকি তব দ্বারে।
তাহাতে আমাদিগকে যমে ভয় করে।।
ঠাকুর বলেন মোর এই বড় ভয়।
পতিত পাবন নামে কলঙ্ক রটায়।।
রাজ-জী বলেন হে দয়াল অবতার।
আন দেখি সে আঁধারে করিব উদ্ধার।।
ঠাকুরের আদেশে আসিল রামধন।
প্রভু কহে রাজ-জীর ধরগে চরণ।।
রামধন যাইতেছে পদ ধরিবারে।
রাজ-জী বলেন বেটা ছুসনে আমারে।।
সুরভীর সঙ্গেতে থাকিবি ছয় মাস।
এক মাস সুরভীর সঙ্গে খাবি ঘাস।।
ছয়মাস সুরভীর গোময় খাইবি।
রাত্রি ভরি সুধামাখা হরিনাম লবি।।
ঠাকুর বলেন গেল কঠিন হইয়া।
দয়া করি দণ্ড কিছু দেহ কমাইয়া।।
রাজ-জী বলেন তবে হোক আধাআধি।
এক বেলা গোময় সকালে খাওয়া বিধি।।
এইভাবে মেয়াদে রহিল রামধন।
বকনা গাভীর সঙ্গে করিত শয়ন।।
গোষ্ঠে গিয়া বকনার সঙ্গে খেত ঘাস।
তোলাক গোময় প্রাতেঃ খায় তিনমাস।।
রামধন রাজ-জীর মেয়াদ পালিল।
হরিচাঁদ পদ ভাবি তারক রচিল।।
পঞ্চম তরঙ্গ
বন্দনা।
জয় জয় হরিচাঁদ জয় কৃষ্ণদাস।
জয় শ্রী বৈষ্ণব দাস জয় গৌরী দাস।।
জয় শ্রী স্বরূপ দাস পঞ্চ সহোদর।
পতিত পাবন হেতু হৈলা অবতার।।
জয় জয় গুরুচাঁদ জয় হীরামন।
জয় শ্রী গোলোকচন্দ্র জয় শ্রী লোচন।।
জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয়।
জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দময়।।
জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ।
নিজ দাস করি মোরে কর আত্মসাৎ।।
ভক্ত আনন্দ সরকারের উপাখ্যান।
পয়ার।
পরগণে খড়রিয়া দুর্গাপুর গ্রাম।
ভকত আনন্দ নামে অতি গুণধাম।।
রামায়ণ গানে যেন দ্বিতীয় বাল্মিকি।
পরম বৈষ্ণব তত্ত্বজ্ঞানী সদা সুখী।।
নমঃশূদ্র কুলজাত খ্যাত সরকার।
প্রামাণিক মণ্ডল গাইন আখ্যা আর।।
কেহ কহে কীর্তনিয়া কেহ অধিকারী।
সর্বগুণী সর্বকার্যে সর্ব অধিকারী।।
কবিগানে বঙ্গদেশে যশ চরাচর।
রচক গায়ক হেন পিক কণ্ঠস্বর।।
(বাদ পড়েছে : editing)