Page: 218

শ্রীশ্রীহরি লীলামৃতপৃষ্ঠা নং : ২১৮
প্রভু বলে তবে তোর প্লীহা সারিবে না।
অমনি দিলেন হস্ত বাম কুক্ষি স্থানে।
প্রভু কন কই তোর পেটে প্লীহা আছে।
বলা মাত্র অমনি সে প্লীহা গেল ঘুচে।।
আনন্দের মুখপরে দিল এক ঠোকনা।
সেরে গেল প্লীহাজ্বর পেটের বেদনা।।
বনমালীর প্লীহা সাড়ে খেয়ে তিল ছাতু।
আনন্দের প্লীহা সারে প্রভু দয়া হেতু।।
অপার মহিমা প্রভু দীন দয়াময়।
পতিত পাবন হেতু অবতীর্ণ হয়।।
হরি হরি হরি হরি নাম কর সার।
পয়ার প্রবন্ধে কহে কবি গুণাকর।।
আনন্দের প্রতি স্বপ্নাদেশ।
পয়ার।
ওঢ়াকাঁদি যাতায়াত করেন আনন্দ।
পরিবারসহ হরি নামে প্রেমানন্দ।।
অহরহ হরিনাম করে মহামতি।
ক্রমে ধনে জনে তার হইল উন্নতি।।
শয়নে স্বপনে চিন্তা বাবা হরিচাঁদ।
রোগ শোক নাহি চিত্তে পরম আহ্লাদ।।
একদিন আনন্দ শুয়ে আছে ঘরে।
স্বপনে দেখিল প্রভু শ্রীহরি ঠাকুরে।।
আনন্দ বলিল হরি করি নিবেদন।
পূর্ব জন্মে আপনি ছিলেন কোনজন।।
প্রভু বলে তাহা কেহ বলিবারে পারে।
যেই পারে কেহ কি মানুষ বলে তারে।।
আনন্দ বলিল প্রভু অনেকেই পারে।
দয়া করি বল নাহি ভাণ্ডিও মোরে।।
প্রভু বলে কে ছিলাম তাহা নাহি মনে।
তবে একদিন আমি কুরুক্ষেত্র রণে।।
অর্জুনের সারথি ছিলাম যে সময়।
হনু বলে প্রভু আর সহ্য নাহি হয়।।
যদি আজ্ঞা করিতেন প্রভু ভগবান।
একটানে ফেলাতাম কর্ণের রথ খান।।
ফেলাতাম চারিশত যোজনের দূরে।
একব্বার যদি আজ্ঞা করিতেন মোরে।।
এত বলি মহাপ্রভু উঠিল তখন।
আনন্দের নিদ্রাভঙ্গ উঠিল তপন।।
হেনকালে শুনিলেন মহাপ্রভু যিনি।
নরলীলা সম্বরণ করেছেন তিনি।।
সে আনন্দ নিরানন্দ কথা নাহি মুখে।
জনমের মত দেখা দিলেন আমাকে।।
শুনিয়া কাতর হ’ল ভকত সমাজ।
গোলোক আদেশে কহে কবি রসরাজ।।
ষষ্ঠ তরঙ্গ
বন্দনা।
জয় জয় হরিচাঁদ জয় কৃষ্ণদাস।
জয় শ্রী বৈষ্ণব দাস জয় গৌরী দাস।।
জয় শ্রী স্বরূপ দাস পঞ্চ সহোদর।
পতিত পাবন হেতু হৈলা অবতার।।
জয় জয় গুরুচাঁদ জয় হীরামন।
জয় শ্রী গোলোকচন্দ্র জয় শ্রী লোচন।।
জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয়।
জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দময়।।
জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ।
নিজ দাস করি মোরে কর আত্মসাৎ।।
শ্রীক্ষেত্র প্রেরিত প্রসাদ বিতরণ।
পয়ার।
একদিন বসেছেন প্রভু হরিচাঁদ।
রাজ-জী ধরিল আসি প্রভুর শ্রীপদ।।
বলে প্রভু আমিত করেছি এক মন।
তব লীলা স্থান সব করিব দর্শন।।