Page: 182

শ্রীশ্রীহরি লীলামৃতপৃষ্ঠা নং : ১৮২

বিবাহিতা রমণীকে ডাক মা বলিয়া।
এতটুকু জ্ঞান আছে অজ্ঞান হইয়া।।
বিচারের কথা তোরে কহিলাম সার।
মানা করি মাতৃ কুল খেপাইওনা আর।।
তাহা শুনি হীরামন হইল কাতর।
ক্ষমা কর অপরাধ হইয়াছে মোর।।
কহিছেন হীরামন করিয়া ভকতি।
ভট্টাচার্য ঠাকুর করুণ অব্যাহতি।।
আজ হ’তে পাইলাম ব্যবস্থার পত্র।
প্রায়শ্চিত্ত করি মোরে করুণ পবিত্র।।
লোচনের ঠাই হীরামন পেল লাজ।
রচিল তারকচন্দ্র কবি রসরাজ।।



দ্বিতীয় তরঙ্গ

বন্দনা

জয় জয় হরিচাঁদ জয় কৃষ্ণদাস।
জয় শ্রী বৈষ্ণব দাস জয় গৌরী দাস।।
জয় শ্রী স্বরূপ দাস পঞ্চ সহোদর।
পতিত পাবন হেতু হৈলা অবতার।।
জয় জয় গুরুচাঁদ জয় হীরামন।
জয় শ্রী গোলোকচন্দ্র জয় শ্রী লোচন।।
জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয়।
জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দময়।।
জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ।
নিজ দাস করি মোরে কর আত্মসাৎ।।


শ্রীমদ্ধীরামন গোস্বামীর মৃত গরু ও মনুষ্য বাঁচাইবার কথা

পয়ার

পাতলা নিবাসী নাম বাল্যক বিশ্বাস।
সদা হরি পদে মতি সুদৃঢ় বিশ্বাস।।
বাহিরে ঐশ্বর্য ভাব অন্তরে বৈরাগ্য।
ওঢ়াকাঁদি আসে যায় ভজনে সুবিজ্ঞ।।
প্রভু হরিচাঁদের ভকত মহাজন।
হরিচাঁদ বলে ডাক ছাড়ে সর্বক্ষণ।।
শ্রীধাম ওঢ়াকাঁদির দায় তারা করে।
মতুয়ার সম্প্রদায় খ্যাত চরাচরে।।
মহাপ্রভু হরিচাঁদ ধাম ওঢ়াকাঁদি।
তাঁহার ভকত যত মতুয়া উপাধি।।
প্রভু শ্রীহরিচাঁদের মতুয়া বাল্যক।
মতুয়া বলিয়া তারে ঘোষে সর্বলোক।।
হরি বোলা ভকত কাহারে যদি পায়।
ভক্তি সহকারে পূজে আনন্দ হৃদয়।।
মতুয়া বাল্যক যিনি তাহার নিবাসে।
গোস্বামী শ্রীহীরামন মাঝে মাঝে আসে।।
একদিন হীরামন আসিল তথায়।
বাল্যক ছিল না বাড়ী কার্যান্তরে যায়।।
বাল্যকের মাতা হন কৌশল্যা নামিনী।
মতুয়া পাইলে ভক্তি করিতেন তিনি।।
কৌশল্যার পেটে ছিল বেদনা অঙ্কুর।
আর দিন এল শ্রীহীরামন ঠাকুর।।
গোস্বামীকে দিয়াছেন তামাক সাজিয়ে।
কৌশল্যা পড়িল পদে দণ্ডবৎ হ’য়ে।।
পদরজ নিতে দিল শ্রীচরণে হাত।
গোস্বামী তখন করে হুঁকার আঘাত।।
সে আঘাতে মূর্ছান্বিতা হয়ে প’ল বুড়ি।
পুনরায় মারিলেন দোহাতিয়া বাড়ি।।
অমনি কৌশল্যা ধনী জীবন ত্যজিল।
গোঁসাই গৃহেতে গিয়া বসিয়া রহিল।।
প্রাঙ্গণেতে কৌশল্যার মৃত শব ল’য়ে।
হুড়াহুড়ি লাগাইল গ্রামীরা আসিয়ে।।
সবে বলে এ পাগল মানুষ মারিল।
কোথা হ’তে এ পাগল পাতলায় এল।।
উলঙ্গ ভৈরব প্রায় না পরে বসন।
এরা এর ভক্তি করে কিসের কারণ।।
কেহ কেহ বলে ভাই ভালই করেছে।
যেমন মানুষ ওরা তেমন হ’য়েছে।।